জুলাইয়ে হিমালয় কন্যা নেপাল ভ্রমণে বৃত্ত

৪-৯ জুলাই, ২০২৩ | নেপাল

জুলাইয়ে হিমালয় কন্যা নেপাল ভ্রমণে বৃত্ত

জুলাইয়ে হিমালয় কন্যা নেপাল ভ্রমণে বৃত্ত (৫ রাত, ৬ দিন)

নেপাল শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই নয় বিশ্বের অনিন্দ্যসুন্দর এবং আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
নেপাল এমন একটি দেশ যেখানে আপনি একসাথে পাবেন আপনার ছুটি উপভোগের সবকিছু।

মন্দির, স্বচ্ছ হ্রদ, সারি সারি সবুজ ভ্যালি, বন্য প্রানী সংরক্ষণ কেন্দ্র, পাহাড় কিংবা তাদের রাজপ্রাসাদ সব কিছুতেই মুগ্ধতা!
এ যেন পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ।

ভ্রমন তারিখঃ ৪-৯ জুলাই, ২০২৩।

ভ্রমণ পরিকল্পনাঃ

৪ জুলাই, মঙ্গলবারঃ
সকালের ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভূবন এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাঠমান্ডু হোটেল চেক ইন। এবং দুপুরের খাবার গ্রহণ শেষে নিজেদের মতো কাঠমান্ডুতে সময় কাটানো।
কাঠমান্ডুতে রাত্রিযাপন।

৫ জুলাই, বুধবারঃ
কাঠমান্ডু থেকে সকালের নাস্তা শেষে পোখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা, পথিমধ্যে হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার গ্রহণ। পথের চারপাশের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। সন্ধ্যায় পোখারা হোটেলে চেক-ইন। রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের মতো সময় কাটানো।
পোখারায় রাত্রি যাপন।

৬ জুলাই, বৃহস্পতিবারঃ
ভোরে হোটেল থেকে সারাংকোটে যাত্রা। সারাংকোটে সূর্যোদয় দেখে সকালের নাস্তা করে পোখারা সাইট সিয়িং। আমরা মূলত পোখারায় ফিওয়া লেক, সারাংকোট, গুপ্তেশ্বর গুহা, দেবী’স ফল, ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন মিউজিয়াম এইসব দেখবো। এর সাথে
পোখারায় রাফটিং/প্যারাগ্লাইডিং এবং বিভিন্ন এডভেঞ্চার এক্টিভিটিস স্পটগুলা আমরা ঘুরবো। তাই যারা যারা এক্টিভিটিসগুলো করতে ইচ্ছুক তারা সেগুলো নিজ নিজ খরচে সেরে নিবেন। রাতের খাবার গ্রহণ শেষে
পোখারায় রাত্রিযাপন।

৭ জুলাই, শুক্রবারঃ
সকালে পোখারা থেকে নাগরকোটের উদ্দেশ্য যাত্রা। নাগারকোটের সূর্যাস্ত আপনাকে বিমোহিত করবে। হোটেল চেকইন করে রাতের খাবার খেয়ে
নাগরকোটে রাত্রি যাপন করবো।

৮ জুলাই, শনিবারঃ
নাগরকোটে সূর্যোদয় দেখে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে যাত্রা। হোটেল থেকে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার এর পর কাঠমান্ডুর দর্শনীয় স্থান সমূহ- দরবার স্কয়ার, পশুপতিনাথ মন্দির, পাটান সিটি, সিংহ দরবার, কোপান মনেস্ট্রি, বৌদ্ধনাথ স্তুপ, স্বয়ম্ভূনাথ স্তুপ, গার্ডেন অফ ড্রিমস ভ্রমণ। এবং
যারা যারা বাঞ্জি জাম্পিং করতে চান উনাদের নিয়ে চলে যাবো দ্যা লাস্ট রিসোর্ট ডে ট্রিপে।
কাঠমান্ডুতে সাইট সিয়িং এবং দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরাঘুরি করে পরিশেষে আমরা হোটেলে চলে আসবো।
যারা যারা শপিং করতে চান এইসময় নিজেদের মতো শপিং করে নিতে পারবেন।
এরপর রাতের খাবার খেয়ে
কাঠমান্ডুতে রাত্রিযাপন।

৯ জুলাই, রবিবারঃ
সকালের নাস্তা শেষে ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে এর উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। ইমিগ্রেশন শেষে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবো। ইনশাল্লাহ দুপুরের মাঝে ঢাকায় পৌঁছাতে পারবো।

খরচঃ ৫৫,০০০ টাকা
(ল্যান্ড প্যাকেজ বাবদ ২৭,০০০/- & এয়ার ফেয়ার বাবদ ২৮,০০০/- এই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; এয়ার ফেয়ার বাড়লে অতিরিক্ত টাকা গেস্টকে বহন করতে হবে)

*** কোন রকমের প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক বা যান্ত্রিক কারণে ট্যুর প্ল্যানের পরিবর্তন হতে পারে।

যা যা থাকছে এর মধ্যেঃ
১/ ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা এয়ার টিকেট।
২/ নেপাল পৌঁছানোর পর থেকে শুরু করে আসার দিন পর্যন্ত প্রতিদিন তিনবেলা মূল খাবার।
৩/ কাঠমান্ডুতে ২ রাত, নাগরকোটে ১ রাত এবং পোখরায় ২ রাত হোটেলে থাকার খরচ।
৪/ রিজার্ভ গাড়ী।
৫/ এন্ট্রি ফি।
৬/ গাইড এন্ড গাইডেন্স।

যা যা থাকছেনাঃ
১/যে কোন ধরনের ব্যক্তিগত খরচ।
২/ কোভিড পরীক্ষার ফি।
৩/এডভেঞ্চার এক্টিভিটিস খরচ (রাফটিং/প্যারাগ্লাইডিং/বাঞ্জি জাম্প/ নৌ ভ্রমণ)
৪/ একই বছর দ্বিতীয়বার ভ্রমনের জণ্য ভিসা ফি ভিসা ফি 25$ USD.

যা সাথে নেওয়া দরকারঃ
৩/৪ সেট কাপড়
প্রয়োজনীয় ঔষধ
ক্যমেরা
চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা অবশ্যই সাথে নিতে হবেঃ
*** যেহেতু নেপাল ভ্রমণে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য অন এরাইভাল ভিসা এবং বছরে প্রথমবার তা একদম ফ্রি। সার্কভুক্ত দেশসমুহের নাগরিকদের জন্য বছরে প্রথমবার কোন ভিসা ফি লাগবে না, অর্থাৎ একই বছর দ্বিতীয়বার ভ্রমনের জণ্য ভিসা ফি লাগবে। ভিসা ফি 25$ USD. কি কি পেপারস সাথে নিতে হবে এটা পরে জানিয়ে দিবো পোস্ট দিয়ে।
*** ডাবল ডোজ কোভিড ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট।

যেসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
* একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
* ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান করতে হবে।
* অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যেটা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
* স্থানীয়দের সাথে কোন রকম বিরূপ আচরণ করা যাবে না।

⁠কনফার্ম করার নিয়মঃ
বুকিং এর ৩০,০০০/- দিয়ে আপনার আসন কনফার্ম করতে হবে।

আপনার প্যকেজটি তিনটি উপায়ে বুকিং কনফার্ম করতে পারেনঃ
সরাসরি অফিসে টাকা জমা দিয়ে বুকিং কনফার্মঃ
অফিস ঠিকানাঃ
Room No : 317 (2nd Floor)
Satmosjid Super Market
Mohammadpur Bus Stand

ব্যাংক ডিপোজিট এর মাধ্যমে বুকিং কনফার্ম :
Acc Name : Mehedi Hassan Shuvo
Acc No : 1291440105698
Eastern Bank Ltd
Khilgaon Branch.
Routing Number: 095273671

বিকাশ কিংবা রকেট এর মাধ্যমে বুকিং কনফার্মঃ
01685-309156 (Bkash Personal)
01911-254397 (Bkash Personal)
আগ্রহীরা ২৫,৫০০/- (01911-254397/ 01685-309156) পার্সোনাল নম্বরে বিকাশ করে আপনার যাত্রা কনফার্ম করতে পারবেন। bKash করে সাথে সাথে ঐ নম্বরে ফোন করে নিজের নাম এবং Transaction Id জানাবার পরেই আপনার আসন কনফার্ম হবে। অথবা ব্যাংক বা সরাসরি দেখা করে টাকা দিতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ এডভান্স এর টাকা দিয়ে আপনার সিট কনফার্ম হবার পর, আপনি যদি কোন কারণে না যেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে অন্য কেউ কনফার্ম করলে অবশ্যই আপনার টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় এডভান্স এর টাকা অফেরতযোগ্য।

বৃত্ত-Britto Travel & Tourism
Room: 317 (2nd floor), Sat Masjid Super Market,
Mohammadpur Bus Stand, Dhaka - 1207.
Email : brittotourism@gmail.com
Website : www.brittotourism.com

Facebook Page : https://www.facebook.com/pg/BrittoTourism
Facebook Group : https://www.facebook.com/groups/BrittoTourism

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ
1. Tawhidul Islam Shawon: 01911-254397.
2. Mehedi Hassan Shuvo: 01685-309156



Tour Gallery